বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী-বরগুনা সীমানাবর্তী উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে পকেট কমিটি করাসহ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা না মেনে সুপারের নিজস্ব ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে প্রতিষ্ঠানের দাতা ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। অবৈধ কমিটির এই দ্বন্দ্বে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কর্মসূচী। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই মাদরাসার দাতা ও এলাকাবাসী শিক্ষা বোর্ডের পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেছেন।
ওই অভিযোগে বলা হয়েছে-মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা না মেনে সুপার আব্দুল হাই যে কমিটি অনুমোদ করেছে তা ভৌতিক। কমিটি অনুমোদনে উধ্বর্তন দপ্তরে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। এছাড়াও কমিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিভাবক সদ্যসদের অবহিত করা হয়নি। কমিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে ভোটার তালিকা প্রকাশ দেখানো হয়েছে তা ভুয়া বলে দাবী করা হয় অভিযোগে। কাগজপত্রে নির্বাচিত কমিটি দেখানো হলেও বাছাই কমিটি বলে দাবী করে সুপার নিজেই। কমিটি অনুমোদ কালে কহিনুর নামে একজন শিক্ষিকার নাম তালিকা দেয়া হলেও উক্ত প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষিকা পাওয়া যায়নি। অভিযোগে আরো বলা হয়-বর্তমান সুপার উক্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান কালে ভুয়া অভিজ্ঞতা এবং জাল সনদপত্র দাখিল করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন বছরে আড়াইশ শিক্ষার্থীর জন্য নতুন বই নেয়া হলেও বিতরন করা হয়েছে মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে। বাকি বই এই পরিত্যক্ত একটি টিন সেটের ঘরে মাটিতে পরে রয়েছে। কাগজ কলমে আড়াইশ শিক্ষার্থী দেখানো হলেও বাস্তবে মাত্র ৩০-৩০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সুপারের অদ্যক্ষতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কাঠামো ক্রমশই ভেঙ্গে পরছে। সঠিক ভাবে পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের একটি টিনসেট ঘরে মাত্র চারটি টেবিল-চেয়ার দেখা গেছে। এসময় সুপার জানায়-নতুন বই নিয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠদানে আসেনি। ওই প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য নুরুল আমীন জানায়-মাদরাসাটি সুপারের মর্জি মত চলে আসছে। সুপারের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় বহিরাগতদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই দিন ১২ জন শিক্ষক থাকলেও গড়ানুপাতে ৫-৬ জন প্রতিনিয়ত উপস্থিত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিদিন গড়ানুপাতে ৩ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে হাঝির হলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান মূখি করতে কোন ভুমিকা নেইনি সুপার। অভিযোগ রয়েছে ৩-৫ শিক্ষার্থীর জন্য ১২ জন শিক্ষক বেতন-ভাতাসহ সরকারী সকল সুযোগ পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সুপার আব্দুল হাই জানান-নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটিতে কোন নির্বাচন হয়নি। সিলেকশন করে কমিটি দেয়া হয়েছে। কাগজপত্রে কেন নির্বাচন দেখানো হয়েছে এমন প্রশ্নে সুপার বলেন-যাদের কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে তারা সকলে এই প্রতিষ্ঠানের অর্থদাতা।
মোজাম্মেল হোসেন কিভাবে দাতা সদস্য হলেন এবং কত টাকা দিয়েছে এমন প্রশ্নে সুপার বলেন, সেটা নতুন সভাপতি যানেন। সদ্য সভাপতি আকতারুজ্জামান খান বাদল কিভাবে পদ পেল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদের তাকে সভাপতি বানানো হয়েছে। এসময় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের হাঝিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন-এখানে চুরির উপদ্রব, তাই সকল কাগজপত্র সভাপতি বাসায় রাখা হয়।